বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির ডাকে জেলা কাউন্সিল অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন

জাতীয় ও রাজ্য শিক্ষানীতি বাতিল,পরিকাঠামো উন্নয়ন করেই পঞ্চম শ্রেণী প্রাথমিককে যোগ করা, ৮২৩৭টি বিদ্যালয় তুলে দেওয়ার চক্রান্ত বন্ধ, স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ ও বদলি প্রক্রিয়া শুরু করা, সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে ক্রীড়া পরিচালনা করা, শিক্ষাদান ব্যতিরেকে অন্য কাজে শিক্ষকদের না লাগানো, প্রধান শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট সহ বিশেষ ভাতা প্রদান, মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি, শিক্ষা বর্ষের শুরুতে উন্নত মানের পোষাক বিতরণ, কম্পোজিট গ্ৰ্যান্ট দ্রুত প্রদান, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান সহ শিক্ষার বিভিন্ন দাবিতে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ডাকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কাউন্সিল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ ও ডেপুটিশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি নিমাই পটিদার। জেলার বিভিন্ন চক্র থেকে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা অংশগ্রহণ করেন। অবস্থানে মঞ্চে বিভিন্ন বিষয়ের উপর শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ বক্তব্য রাখেন । প্রধান বক্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা কেন্দ্র ও রাজ্য শিক্ষা নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন-কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার নানা ক্ষেত্রে পরস্পরের বিরোধিতা করলেও শিক্ষা নীতি প্রয়োগ ও পরিচালনার ক্ষেত্রে দুজনে একই নীতি নিয়ে চলেছে। দুই সরকারই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরকারি শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নিয়ে বেসরকারিকরণের দরজা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তাই ছাত্রাভাবের অজুহাতে বিদ্যালয় তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাই শিক্ষাকে বাঁচাতে আমাদের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এছাড়া এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সমিতির রাজ্য কমিটির সদস্য সতীশ সাউ, রাজ্য কোষাধ্যক্ষ মেঘনাদ খামরুই, রাজ্য কমিটির সদস্য গোকুল চন্দ্র মুড়া, জেলা সম্পাদক সৌমিত্র পট্টনায়েক, জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য সুবল সামন্ত,সৌমেন প্রধান, কৃষ্ণেন্দু বিজলী,শংকর পাত্র, সুদীপ্ত সাউ, সুপ্রিয় পন্ডা, মৌমিতা প্রামাণিক,সুজয় জানা প্রমূখ।
জেলা সম্পাদক সৌমিত্র পট্টনায়েক বলেন -দ্রুত বিদ্যালয় গুলিকে কম্পোজিট গ্ৰ্যান্ট দিয়ে আর্থিক সহায়তা করতে হবে। সেই সঙ্গে সমস্ত স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আর্থিক ব্যয় ভার সরকারকে বহন করতে হবে।
এক প্রতিনিধি দল চেয়ারম্যানকে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন এবং শিক্ষার বহুবিধ সমস্যার সমাধানের দাবি জানান।
0 Comments