নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ফুল ও সব্জীচাষের দফারফা, অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবী।

 নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ফুল ও সব্জীচাষের দফারফা, 
 অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবী। 


চলতি নিম্নচাপজনিত প্রবল বৃষ্টির কারনে রাজ্যের কৃষি প্রধান জেলা হিসাবে পরিচিত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সব্জী ও ফুলচাষ ভীষণভাবে ক্ষতির মুখে।
           সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতি ও কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, দুর্গাপূজা আর মাত্র দু মাস বাকী। টানা একমাসেরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি চলতে থাকায় গাঁদা- দোপাটি সহ বিভিন্ন ফুল ও বাহারিপাতা বাগানের মাটি নিরবচ্ছিন্নভাবে ভিজে ও স্যাঁতসেতে থাকায় অর্ধেকেরও বেশি ফুল ও বাহারী পাতার গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি পাপড়িযুক্ত ফুলের ভেতরে বৃষ্টির জল ঢুকে কিছু পাপড়ি পচে গিয়ে ফুলের গুণমান নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে আসন্ন পুজো মরশুমে ফুলের সংকট দেখা দেবে। অন্যদিকে ওই একই কারণে শাকসব্জি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সব্জির বাগানও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলস্বরূপ বেশ কিছুদিন ধরেই সব্জির দাম আকাশছোঁয়া। সাধারণ মানুষের লাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। 
            নারায়নবাবুর অভিযোগ,একদিকে ফুল ও সব্জি চাষ করতে বর্তমানে রাসায়নিক সার-বীজ-কীটনাশক সহ বিভিন্ন উপকরণের দাম যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে,সে তুলনায় কৃষক ফসলের ন্যায্য দাম না পেয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন,অন্যদিকে অর্থকরী 'কৃষিপণ্য' হিসাবে চিহ্নিত নয়,সে কারণে চাষিরা 'শস্যবীমা'র সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ফলে ক্ষতি হলেও বীমার সাহায্য মিলছে না ওই কৃষকদের। 
সম্প্রতি এ বিষয়ে উদ্যানপালন দপ্তরের সচিবকে স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবীও জানানো হয়েছে বলে উনি বলেন। 
            সংগঠনের দাবী অবিলম্বে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ওই কৃষকদের পাশে দাঁড়াক। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বন্দোবস্ত করুক। পাশাপাশি ফুল ও সব্জিকে 'কৃষিপণ্য' হিসাবে স্বীকৃতি  দিক। তা না হলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না।  

Post a Comment

0 Comments