পর পর দু মরশুমে চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর খাল সংস্কারের কারণে আগামী বোরো মরশুমে চাষ না হওয়ায় আশঙ্কা, কৃষকেরা সমস্যায়,ক্ষতিপূরণের দাবি।
তমলুক মহকুমার গঙ্গাখালি, টোপা ড্রেনেজ,জঁফুলি এই তিনটি খাল গত বছর বোরো মরশুমে সংস্কার হয়েছিল। সেই কারণে ওই খাল পার্শ্ববর্তী এলাকায় জোয়ার জলকে ভিত্তি করে যে যে এলাকায় ধানের চাষ হয়, সেখানে চাষ হয়নি। ওই খাল সংলগ্ন এলাকাগুলি হল কোলাঘাট ব্লকের বৃন্দাবনচক,সিদ্ধা-১,সাগরবাড়,দেড়িয়াচক ও শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক-২,ধলহরা, রঘুনাথপুর- ১ ও ২, নীলকুন্ঠা,বিষ্ণুবাড়-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৫০ টি গ্রাম। চলতি বর্ষায় আমন মরশুমে পাঁশকুড়ায় কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যা ও জলবন্দী পরিস্থিতির কারণে ওই এলাকা সহ তমলুক মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশে আমন মরশুমের চাষ নষ্ট হয়েছে। আবার আগামী বর্ষার পূর্বে মহকুমার সোয়াদিঘী,দেহাটী,পায়রাটুঙি,জয়গোপাল,কামিনা,দেনান,টোপা,গঙ্গাখালির অবশিষ্টাংশ প্রভৃতি ১৩ টি নিকাশী খাল সংস্কারে সেচ ও জেলা প্রশাসন হাত দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে সোয়াদিঘি খাল সংস্কারের জন্য সেচ দপ্তর নির্দেশিকা জারি করেছে। আগামী সপ্তাহে পায়রাটুঙী খাল সংস্কারেরও নির্দেশিকা জারি হতে চলেছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে বাকি খালগুলিরও সংস্কারের ওয়ার্ক অর্ডার শীঘ্রই দেওয়া হবে। ফলস্বরূপ ওই বিস্তীর্ণ এলাকাতেও আগামী বোরো চাষ না হওয়ার সম্ভবনাই বেশী। কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, খাল সংস্কার ভাল করে করতে গেলে চলতি সময়টাই খুবই কার্যকরী। কিন্তু পর পর তিনটি মরশুমের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সমস্যায় পড়তে চলেছে কৃষকেরা। অতি সত্বর প্রশাসন খাল সংস্কারের বিষয়ে মাইকিং করে জনসাধারণকে জানাক। কারন বোরো চাষের জন্য বীজ তোলা ফেলানোর কাজ নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই শুরু হয়। পাশাপাশি আমরা ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি সাহায্য প্রদানের দাবী জানাচ্ছি।
0 Comments