কোলাঘাটের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে মূল অভিযুক্তর কাছ থেকে ২০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করার কথা জানাল পুলিশ।

 কোলাঘাটের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে মূল অভিযুক্তর কাছ থেকে ২০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করার কথা জানাল পুলিশ। 


পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের উত্তর জিঞাদার স্বর্নব্যবসায়ী সমীর পড়িয়া খুনের সাথে যুক্ত মুল অভিযুক্ত গোরা শা নামে এক ব্যাক্তিকে গত ১৬ জানুয়ারী হলদিয়ার হেড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছিল জেলা পুলিশের এক তদন্তকারী দল। প্রায় ১৪ মাস পর পুলিশের জালে এই অভিযুক্ত ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছিল। 
         প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২০ শে নভেম্বর রাত পৌনে ন'টা নাগাদ ওই স্বর্ণব্যবসায়ী ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের জিঞাদা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতকারীদের এক দল গুলি করে নৃশংসভাবে খুন করে সমীরের কাছে থাকা সোনা ও টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনার পর-পরই এলাকার নাগরিকেরা ওই খুনের প্রতিবাদে এলাকায় নাগরিক নিরাপত্তার দাবীতে "নাগরিক সুরক্ষা কমিটি" গড়ে তুলে আন্দোলনে নামেন। একাধিকবার জেলা শাসক,পুলিশ সুপার এবং কোলাঘাটের বিডিও'কে বিক্ষোভ-ডেপুটেশনও দেন নাগরিকেরা। ঘটনার কয়েকদিন পর হাওড়ার শ্যামপুর থেকে ঈশা হক নামে এক দুষ্কৃতকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর বেশ কয়েক মাস পর বাগনান থেকে শেখ রাজু নামে পাঁশকুড়ার এক বাসিন্দাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। লাগাতার আন্দোলনের চাপে অবশেষে জেলা পুলিশের ওই দল মুল পান্ডা গোরা শা নামে এক অভিযুক্তকে ধরে। ওই অভিযুক্তকে পুলিশ পুনর্নিমাণ করতে ঘটনাস্থল দেউলবাড় ও দোকানস্থল উত্তর জিঞাদায় নিয়ে যায়। আজ কোলাঘাট থানার ও.সি. রাজু কুন্ডু এ বিষয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানায়,অভিযুক্ত ওই তিনজনই খুন ও ছিনতাইয়ের মূল নায়ক। ওদের কাছ থেকে কুড়ি গ্রাম সোনাও উদ্ধার করা হয়েছে।    
            "নাগরিক সুরক্ষা কমিটি"র মুখপাত্র নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সাথে যুক্ত সমস্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি জিঞাদা এবং বরদাবাড়ের মাঝামাঝি দেউলবাড়ে বাসস্ট্যান্ড সহ রাস্তায় পথবাাতি ও সি সি ক্যামেরা লাগাতে হবে।যতদিন না নাগরিক সুরক্ষার ওই দাবীগুলি পূরিত হচ্ছে,ততদিন নাগরিকদের ওই দাবীতে আন্দোলন চলবে বলে নারায়ণবাবু জানান।

Post a Comment

0 Comments