কলসেন্টারের আড়ালে বিপুল অংকের সাইবার প্রতারণা চক্রের হদিশ! পাঁশকুড়া থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার কলসেন্টারের মালিক

অচেনা নম্বরে ফোন ধরলেই ফোনের অপর প্রান্ত থেকে নিঃসঙ্গতা কাটানো বা প্রেমের প্রস্তাব আসত কখনো বা চাকরির নাম করে রেজিস্ট্রেশনের নামে টাকা চাওয়া হতো।এই ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে অনেকেই।বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ পেতেই তদন্তে নেমেছিল পুলিশ,
সোমবার পাঁশকুড়া থানা এবং দমদম থানার পুলিশ যৌথ তল্লাশি চালায় দমদমের মতিলাল কলোনিতে। যে বাড়িটিতে কল সেন্টার চলতো সেখানে হানা দিয়ে পুলিশ জানতে পারে মূলত কলসেন্টারের আড়ালে চলতো সাইবার প্রতারণা। ঘটনায় মোট ১৮ জন মহিলা এবং কলসেন্টারের মালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।১৭ জনের নামে দমদম থানায় সুওমোটো কেস হয়েছে। মূল অভিযুক্ত ঘনশ্যাম হালদারকে গতকাল গ্রেফতার করে পাঁশকুড়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল।আজ তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক আদালতের উদ্দেশ্যে। যদিও ঘনশ্যাম হালদার এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন "এফআইআর দায়ের হয়েছে!কি হয়েছে দেখে নিন!!"
পাঁশকুড়ার বাসিন্দা তাপস হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হলে দমদম থেকে গ্রেফতার হয় ওই মূল অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় পাঁশকুড়ার বাসিন্দা তাপস হাজরাকে বাড়িতে বসে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে কাছ থেকে ধাপে ধাপে মোট ৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে ওই জাল চক্র। তারপরেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় কল সেন্টারের মালিক ঘনশ্যাম হালদার।
0 Comments