পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জেলা শাসকের দপ্তরে পানচাষী ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করলেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।
রাজ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর এই দুই জেলায় ব্যাপকভাবে পান চাষ হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে পান বিক্রির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন চাষীরা। সেই সমস্যা গুলি সমাধানের জন্য শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জেলা শাসকের দপ্তরে পানচাষী ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করলেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না।পান পাতা বিক্রি হয় ‘গুছি' তে। এক ‘গুছি’ তে থাকে ৫০টি পাতা। ‘গুছি’-তে পান পাতার সংখ্যা এবং তার দাম নির্ধারণ ইচ্ছে মতো হয় বলে অভিযোগ করেন চাষীরা। 'শাল মোনেলা' নামক একটি ব্যাকটেরিয়া যে ব্যাকটেরিয়া পানে থাকার কারণে বিদেশে এই পান বিক্রি হচ্ছে না। তাই এই পান বিক্রির ক্ষেত্রে যে ল্যাবের দরকার সেই ল্যাব তৈরির প্রস্তাব দেন পান চাষিরা। পাশাপাশি কলকাতা থেকে বিদেশে যেতে কারগো প্লেনের মাধ্যমে ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবস্থা করা হয় সেজন্য আবেদন জানায় চাষিরা চাষীরা। রাজ্যের দুই জেলার নয় সমন্বয় সাধনের জন্য জেলাশাসক ও সভাধিপতিদের নিয়ে একটি নতুন কমিটি তৈরি করা হবে এবং এই কমিটিদের নিয়ে ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখ কলকাতায় একটি বৈঠক হবে। পান চাষ ও বিক্রিতে কৃষকদের সচেতন করার জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিমতৌড়ি ,কাঁকটিয়া বাজার,খেজুরি ও দীঘাতে মোট চারটি মিটিং করা হবে। আজকের বৈঠকে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষি দপ্তরের প্রধান সচিব ওঙ্কারনাথ মিনা, যুগ্ম সচিব মুফতি শামীম শওকত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী, জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য, পাথর প্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।বৈঠক শেষে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেনপান চাষ ভালো করতে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের গবেষকদের পরামর্শ নেওয়া হবে। এই দুই জেলার পান যাতে বিশ্বের সেরা হয়, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যে বিশ্ব বাংলা ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ড নিয়ে সারাদেশে এই পান ছড়িয়ে পড়ে এটাই হচ্ছে আজকের মুখ্য উদ্দেশ্য।গুছিতে’ ৫০ টি পান পাতার পরিবর্তে ৭০ টি করে পান পাতা দিতে হবে। বাংলা পাতা, মিষ্টি পাতা দু বিষয় নিয়েই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
0 Comments