পাঁশকুড়ার গড়পুরুষোত্তমপুরে নির্মীয়মান কাঁসাইয়ের নদীবাঁধে ধ্বস। জরুরী ভিত্তিতে ওই স্থান সহ সমস্ত ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধের অংশগুলি শক্তপোক্ত করে নির্মাণের দাবী।

 পাঁশকুড়ার গড়পুরুষোত্তমপুরে নির্মীয়মান কাঁসাইয়ের নদীবাঁধে ধ্বস। জরুরী ভিত্তিতে ওই স্থান সহ সমস্ত ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধের অংশগুলি শক্তপোক্ত করে নির্মাণের দাবী। 


কাঁসাইয়ের গড়পুরুষোত্তমপুরে ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধ পুনর্নির্মাণের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ইতিমধ্যে গতকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ওই স্থানে ধ্বস নেমেছে। যদিও কাঁসাই নদীতে এখন জল নেই। 'পাঁশকুড়া বন্যা প্রতিরোধ ও খাল সংস্কার সংগ্রাম সমিতি'র এক প্রতিনিধিদল ওই স্থান পরিদর্শন করে আজ এ বিষয়ে সেচ দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। পরিদর্শনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন কমিটির উপদেষ্টা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, সভাপতি কল্যাণ রায়,সম্পাদক দীপঙ্কর মাইতি ও লক্ষীকান্ত সাঁতরা প্রমূখ। নারায়নবাবু জরুরী ভিত্তিতে তিনটি স্থানেই শক্তপোক্ত বাঁধ নির্মাণের দাবী জানান সেচ দপ্তরের আধিকারিককে। কয়েকদিন আগে ওই কাজ পরিদর্শন করে গিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের  জেলাশাসক সহ সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রমুখ উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।  
             প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত বর্ষায় কাঁসাই নদীর পাঁশকুড়া সংলগ্ন জদড়া-গড়পুরুষোত্তমপুর-মানুর-উদয়পুর প্রভৃতি চারটি স্থানে নদী বাঁধ ভেঙে পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকের বিস্তীর্ণ অংশ বন্যা প্লাবিত হয়েছিল। বন্যায় নদীর জল আটকানোর পর স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে সেচ দপ্তর অনেক দেরি করায় এখনো পূর্ণাঙ্গরূপে বাঁধ নির্মিত হয়নি। শুধু গড়পুরুষোত্তমপুর নয়,মানুর ও জঁদরায় ভেঙে যাওয়া জায়গাগুলিতেও এখনো কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে পূর্বে ওই সমস্ত অংশে একাধিক পাইলিং দিয়ে যেভাবে শক্তপোক্ত করে বাঁধা হোত, এবারে সেভাবে করা হয়নি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, ঠিকাদার ৬০% এরও বেশি লেসে কাজ ধরায় কাজের গুণমান ঠিকমতো হয়নি।  

Post a Comment

0 Comments