প্রাচীন তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ীর পুজো আজ সার্বজনীন, চলছে পুজোর প্রস্তুতি
তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর তথা ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাচীন রাজবাড়ি তমলুক রাজবাড়ি। অতীতের রাজ ঐতিহ্য মেনে ঢাকে কাঠি পড়ে সুপ্রাচীন তাম্রলিপ্ত সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর শহর তাম্রলিপ্ত বা তমলুকের এই দুর্গাপুজোর ঘিরে সাজ সাজ রব রাজবাড়ি জুড়ে। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণে বহু প্রাচীন প্রথা মেনে ঐতিহাসিক এই রাজবাড়ির ঢাকের তালে উচ্ছ্বাসে প্রস্তুতিতে মেতে উঠেছে রাজবাড়ী সদস্য সহ এলাকার মানুষ।
খসে পড়েছে পলেস্তারা। হারিয়ে গিয়েছে সরগরম রাজসভা কিংবা নাচমহল। ভগ্নস্তুপের মাঝেই স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে দাঁড়িয়ে কেবল জরাজীর্ণ লাল চুনসুড়কির দেওয়াল। তাও আবার সংস্কারের অভাবে সঙ্কটের মুখে। বহু প্রাচীন তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ি কৌলিন্য হারালেও সেই সাবেকিয়ানা বজায় রাখতে মরিয়া প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম।
তাম্রলিপ্ত আদি সার্বজনীন দুর্গাপূজার মুখ্য উদ্যোক্তা তমলুক পৌরসভার পুরপ্রধান তথা তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ির অন্যতম সদস্য দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়। তিনি বলেন, “তমলুক রাজবাড়ির দুর্গাপুজো একসময়ে বাড়ির মহিলারাই আয়োজন করতেন। মাঝে তা বন্ধ হয়ে যায়। বিগত ১৬ বছর ধরে এলাকাবাসীদের নিয়ে সমস্ত রকম রীতি মেনেই এই দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠান এখন সর্বজনীন রূপ নিয়েছে।
প্রসঙ্গত তমলুক শহরে দুর্গা পুজোর প্রাচীন ইতিহাস রাজবাড়ির সঙ্গেই জড়িত। সেই রাজবাড়ির পৃষ্ঠপোষকতায় নতুনভাবে আদি তাম্রলিপ্ত সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির উদ্যোগে প্রতিবছর দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। এই দুর্গাপুজোর বিগত কয়েক বছর উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এবারও এই দুর্গাপূজার উদ্বোধন করতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই এখন থেকেই দুর্গাপুজোনিয়ে সাজো সাজো রব।
0 Comments