বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় জেলায় আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী,ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তৈরি করা শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন
সরকারি হিসেবে এখনো প্রায় ৩০০০০ হেক্টর এর বেশি চাষের জমি জলের তলায়, সরকারি সাহায্য না পেলে না খেয়ে মরতে হবে জানালেন চাষিরা।
কাঁসাই নদীতে জলস্তর বেড়ে এবং ডিভিসির বারে বারে জল ছাড়ার ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবেছে বন্যায়।পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের জেলায় আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর সফরের খবর পেয়ে ব্লক প্রশাসন গুলি ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তৈরী করতে শুরু করেছে। জেলার এগ্রিকালচারের ডেপুটি ডাইরেক্টর তীর্থঙ্কর মন্ডল জানিয়েছেন পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার হেক্টরের বেশি আমন চাষ ক্ষতি হয়েছে।
প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফুলচাষ নষ্ট হয়ে বলে খবর। এছাড়া শাকসব্জি, ঘরবাড়ি ও গবাদি পশু পাখীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদিও প্রশাসন সরকারি হিসেব এখনো সম্পুর্ন করতে পারেনি বহু এলাকায়।কংসাবতীর জলে এই এলাকাগুলি বন্যার কবলে পড়েছে। জল এখনো পুরো পুরী নামেনি। পুনরায় নিম্নচাপের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বানভাসী এলাকাগুলির জনজীবন আরো সংকটে পড়বে বলেই মনে করা যায়। মাঝের দুদিন জল নামতে শুরু করলেও পুনরায় নিম্নচাপের বৃষ্টিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এলাকাবাসীরা। ধান চাষিরা জানাচ্ছেন এখনো অবধি তাদের সমস্ত জমি জলের তলায়, সরকার যদি সাহায্য না করে তাহলে না খেতে পেয়ে মরতে হবে তাদের। সরকার যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাদের দিকে।

0 Comments