এখনই মাদ্রাসায় অনুদান বন্ধ নয়, শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রস্তাবে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ।

 এখনই মাদ্রাসায় অনুদান বন্ধ নয়, শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রস্তাবে  সুপ্রিম  স্থগিতাদেশ।


মাদ্রাসায় অনুদান বন্ধ নয়, শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রস্তাবে 'সুপ্রিম' স্থগিতা দেশ মাদ্রাসার পড়ুয়াদের নিয়ে উত্তরপ্রদেশ এবং ত্রিপুরা সরকারের নির্দেশিকার উপরও স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। 
 মাদ্রাসাগুলোর আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হোক। সম্প্রতি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোর কাছে এমনই প্রস্তাব রেখেছিল জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। যা নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করেছে শীর্ষ আদালত। এই মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদি ওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। শুনানিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রস্তাবের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হল। কমিশনের দেওয়া পরামর্শের ভিত্তিতে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারগুলো কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। একই সঙ্গে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলোর থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করেছে আদালত।


এছাড়া কয়েকদিন আগেই ওই কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশ এবং ত্রিপুরা সরকার নির্দেশ দিয়েছিল যে অনুমোদন হীন এবং সরকার অনুমোদিত মাদ্রাসাগুলো থেকে অমুসলিম-সহ সকল পড়ুয়াদের সরকারি স্কুলে ভর্তি করতে হবে। আজ ওই দুরাজ্যের নির্দেশিকার উপরেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি এর মধ্যে অন্য কোনও রাজ্য যদি এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে তাহলে তার উপরেও স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। জানা গিয়েছে, মাদ্রাসা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের জারি করা নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ নামে একটি সংগঠন। তাদের অভিযোগ ছিল, সরকারের এই নির্দেশিকার ফলে সংখ্যালঘুদের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানো ও সেখানে শিক্ষার অধিকার খর্ব হচ্ছে।
মাদ্রাসার ভূমিকা ও শিশুদের শিক্ষার অধিকারে তার প্রভাব নিয়ে নানা তথ্য দেওয়া হয় । এখানে কমিশনের মূল পরামর্শই ছিল, বিভিন্ন রাজ্যে মাদ্রাসাগুলোর আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হোক। কারণ তাদের অভিযোগ, শিক্ষার অধিকার আইনের লক্ষ্য সমতা, সামাজিক ন্যায় এবং গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। কিন্তু এই আইন লঙ্ঘন করে মাদ্রাসাগুলোয় পড়ুয়াদের এর বিপরীত শিক্ষাদান করা হচ্ছে। এই অভিযোগের স্বপক্ষে কয়েকটি ঘটনাও তুলে ধরা হয় রিপোর্টে। তাই মাদ্রাসাগুলোকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় কমিশন। এই প্রস্তাবের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করা শুরু করেছিল ত্রিপুরা ও উত্তরপ্রদেশ সরকার। কিন্তু আজ এই দুই রাজ্যের পাশাপাশি অন্য রাজ্যগুলোকেও এনিয়ে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।



Post a Comment

0 Comments