'দীপান্বিতা অমাবস্যায় দেবী মা রাজবেশ ' ভীমারূপে ' পুঁজিত হন। বর্গভীমা মন্দিরে পূজো দিয়েই তমলুকের বিভিন্ন ক্লাব প্রতিষ্ঠান বা বাড়ির কালীপুজো শুরু হয়। এমনই রীতিনীতি মেনেই আসছেন ভক্তবৃন্দরা।

 'দীপান্বিতা অমাবস্যায় দেবী মা রাজবেশ ' ভীমারূপে ' পুঁজিত হন।বর্গভীমা মন্দিরে পূজো দিয়েই তমলুকের বিভিন্ন ক্লাব প্রতিষ্ঠান বা বাড়ির কালীপুজো শুরু হয়। এমনই রীতিনীতি মেনেই আসছেন ভক্তবৃন্দরা।


তমলুকের শক্তি পিঠের প্রাচীন নাম বিভাস। দেবী এখানে বর্গভীমা বা ভীমারূপা নামে অধিষ্ঠিত। ভৈরব সর্বানন্দ মতান্তরে কপালি মহামায়া সতীর দেহাংশের মধ্যে বাম গুল্ফ বা বাম পায়ের গোড়ালি পড়েছিল এখানে।
 ১৪৬৬ খ্রিস্টাব্দ  মুকুন্দরামের চন্ডীমঙ্গল কাব্যে গোকুলে গোমতী নামা তাম্রলিপ্তে বর্গভীমা এবং মার্কন্ডেও পুরানে আছে দেবী বর্গভীমার উল্লেখ। তমলুক শহরে প্রাচীনে বা অতীতে কোন শক্তি পুজো হতো না। শুধুমাত্র দেবীর বর্গভীমার পুজো হতো। কালের নিয়মে তমলুক শহরে যখন বিভিন্ন শক্তি পুজো শুরু হয়। সেই সময় দেবী বর্গভীমা মন্দিরের একটি নিদান দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় কোন শক্তি পুজো হতে গেলে সে ক্লাব প্রতিষ্ঠান হোক বা বাড়ির, প্রথমে দেবীমার পুজো দিয়ে তবেই তারা পুজো শুরু করতে পারবে। সেইমতো আজও তমলুক শহর কিংবা সে তল্লাটে যত কালীপূজো হয় প্রত্যেক ক্লাব প্রতিষ্ঠান সুসজ্জিত শোভা যাত্রার মাধ্যমে দেবী বর্গভীমা মন্দিরে এসে পুজো দিয়ে তবেই তাদের কালীপুজো শুরু করে। 
পাশাপাশি এদিন দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষে দেবী মা রাজবেশ পরিধান করেন এবং মাকে দেওয়া হয় রাজভোগ। দেবী বর্গভীমার ভোগে বিশেষ সংযোজন হলো শোল মাছের  টক রান্না ভোগ।শহরের কালীপুজো দেখতে এবং সুসজ্জিত শোভাযাত্রা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান তমলুক শহরে। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই জন্য পুলিশ প্রশাসন ও মন্দিরে স্বেচ্ছা সেবকের ব্যবস্থা করা হয়েছে এমনটা জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।



Post a Comment

0 Comments