মমতার উন্নয়নের শরিক হব’, কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী পাঁচরোলের এক পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে

ওই এক সদস্যের দাবি, তাঁদের কেউ জোর করেননি। তৃণমূলে যোগ দেওয়া এমনই এক জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী সাহানারা খাতুনের কথায়, ‘‘মানুষের কাজ করার জন্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।’’
কংগ্রেসের টিকিটে তেইশের পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী হয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের এমন এক পঞ্চায়েত সদস্য-সহ মোট চল্লিশটি পরিবারের শতাধিক যোগ দিলেন তৃণমূলে। এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি'র হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়ে আসিরুদ্দিন মল্লিক বললেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শরিক হওয়ার জন্য দল বদলালাম।’’ রবিবার পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবাগোলাতে আয়োজিত সভায় তৃণমূলে যোগ দেন তাঁরা। এই যোগদান শিবির’-এ উপস্থিত ছিলেন এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি, দলের ব্লক তৃণমূলেত সাধারণ সম্পাদক অশোক দাস, দলের ব্লক মহিলা সভানেত্রী মানসী দে, যুব সভাপতি চন্দন রায়, পাঁচরোল অঞ্চল তৃণমূলের কনভেনর শেখ মুক্তাজল, রবীন্দ্রনাথ দাস ও শেখ মুস্তাকিন, ব্লকের কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল গফফার কাজি, সাকির খান, নূর রহমান, রাধানাথ মিশ্র, আস্পাতুল্লাহ খান প্রমুখ। নবাগতদের দাবি, তাঁদের কেউ জোর করেননি। নিজেদের ইচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়া এমনই এক জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী সাহানারা খাতুনের কথায়, ‘‘মানুষের কাজ করার জন্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।’’
এই যোগদান নিয়ে এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি বলেন, ‘‘এঁরা আগে কংগ্রেসের টিকিটে বিজয়ী হন। কিন্তু বুঝতে পেরেছেন, কংগ্রেসে থেকে কাজ করা যাবে না। তাঁরা এ-ও বুঝতে পেরেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মসূচির অংশ হতে পারবেন। তাই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিলেন।"
0 Comments