দিনটা ছিল শনিবার। সময়টা দুপুর প্রায় সাড়ে বারোটা । ময়নার শ্রীকন্ঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রজাবাড় ব্রিজের কাছে হঠাৎই রাস্তার ধারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে এলাকার মানুষ। দেখতে দেখতে সেই আগুন বিস্তার লাভ করতে শুরু করে। এলাকার গ্রামীন চিকিৎসক ডাক্তার অশোক কুমার মাইতি জানান সামনেই তিনি চেম্বার করছিলেন। রোগীর পরিবারের একজন লোক হঠাৎই আগুন দেখতে পেয়ে ডাক্তার বাবুকে জানালে ছুটে বাইরে বেরিয়ে এসে ডাক্তারবাবু লোকজনকে ডাকাডাকি করে। কিছুক্ষণের মধ্যে এলাকার বহু মানুষ জড়ো হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ঘটনাটি ঘটায় টহলরত পুলিশের গাড়িও ঘটনাস্থলে তৎক্ষণাৎ পৌঁছে যায়। পুলিশের বাঁধাকে উপেক্ষা করে এলাকার মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে। এলাকার মানুষ বাড়ি থেকে হাড়ি কলসি সংগ্রহ করে জলাশয় থেকে জল তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। মূলত যে স্থানে আগুন লেগেছে সেই স্থানে বাঁশ বাগান রয়েছে। যার ফলে বাঁশের শুকনো পাতা গাছের তলায় মজুদ ছিল। শুধু তাই নয় ওই এলাকায় মজুদ ছিল সজল ধারার একাধিক প্লাস্টিকের পাইপ। যা অত্যন্ত দাহ্য বস্তু। এলাকার বাসিন্দা নির্মল সামন্ত জানান আমরা এলাকাবাসী সবাই উদ্যোগ নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও জলের পাইপ থেকে শুরু করে বাঁশ গাছের বেশ ক্ষতি। জানা যায় প্রায় একশোরও বেশি পাইপ এই স্থানে মজুদ ছিল। প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ভিতরে আগুন লুপ্ত অবস্থায় ছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। প্রায় দমকলের একটি ইঞ্জিন আধ ঘন্টার প্রচেষ্টায় সমস্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। জলের পাইপ সহ বাঁশ গাছের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা নিতাই বাইচার বলেন দমকল স্টেশন অনেকটা দূরে হওয়ায় ঘটনাস্থলে দমকলের গাড়ি পৌঁছতে দেরি করেছে। যাতে দ্রুত ময়নায় একটি দমকল স্টেশন করা যায় সেদিকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে নিতাই বাইচার । প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে কোন পথচারী ধুমপান খাওয়ার পর আগুন ফেলে দেওয়ার কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
0 Comments