প্রথম শ্রেণী থেকে পাশ ফেল চালুর দাবিতে ডি আই এর নিকট ডেপুটেশন ও অবস্থান BPTA এর

 প্রথম শ্রেণী থেকে পাশ ফেল চালুর দাবিতে ডি আই এর নিকট ডেপুটেশন ও অবস্থান BPTA এর


* অবিলম্বে প্রথম শ্রেণী থেকেই পাশ-ফেল চালু
* শ্রেণী ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ
* ছাত্র অভাবের অজুহাতে বিদ্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
* বিদ্যালয়ে অন্তত ১ জন করে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ
* কম্পোজিট গ্র্যান্টের বাকি ৫০ শতাংশ/ অর্ধেক মার্চ মাসের মধ্যেই প্রদান
*  কুসংস্কারমুক্ত বিজ্ঞান ভিত্তিক সিলেবাস প্রনয়ণ করতে হবে।
*  বকেয়া সহ কেন্দ্রীয় হারে ডি এ প্রদানের দাবিতে
আজ বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) এর নিকট ডেপুটেশন এবং অবস্থান অনুষ্ঠিত হয়। অবস্থান আন্দোলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা, জেলা সম্পাদক সৌমিত্র পট্টনায়ক, রাজ্য কমিটির সদস্য সুবল সামন্ত, সুদীপ্ত সাউ প্রমুখ।
সৌমিত্র পট্টনায়ক বলেন দেশের মধ্যে শিক্ষায় একদা প্রথম স্থানে থাকা এ রাজ্য আজ পেছনের সারিতে এবং তার জন্য ৮০'র দশকে পূর্বতন রাজ্য সরকারের পাশ-ফেল বিসর্জনের নীতিই মূলতঃ দায়ী। মূল্যায়নের মাধ্যমে উন্নতমানের শিক্ষার কথা বললেও অদ্যাবধি পরিকাঠামোর কোনরকম উন্নয়ন করা হয়নি শুধু নয়; শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ তো দূরের কথা নিয়মিতভাবে শিক্ষক নিয়োগ পর্যন্ত করা হয়নি। তার ফলে বর্তমানে প্রাথমিকে শূন্যপদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার।
আনন্দ হান্ডা বলেন স্বাধীনতার ৭৮ বছরেও প্রাথমিকে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়নি শুধু নয়; যে সামান্য সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন তাদের দিয়েই ভোটের কাজ, জনগণনা সহ নানান শিক্ষাদান বহির্ভূত কাজ সারা বছর করানো হচ্ছে। ফলে প্রাথমিকে শিক্ষাদানটাই গৌণ হয়ে গিয়েছে। ফলশ্রুতিতে অভিভাবক সমাজ সরকারী শিক্ষাব্যবস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই সরকারি বিদ্যালয়গুলো ছাত্রের অভাবে ধুঁকছে। অথচ এর দায় শিক্ষকদের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে ২১-২৭ মার্চ দাবী সপ্তাহ পালনের আহ্বান জানান তিনি।

Post a Comment

0 Comments