রাজ্যব্যাপী বন্যা-ভাঙন-খরা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবীতে মেচেদায় সারা বাংলা কনভেনশন
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া,পুরুলিয়া,ঝাড়গ্রাম সহ কয়েকটি জেলা 'খরা' এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর,হাওড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা প্রভৃতি কয়েকটি জেলা 'বন্যা' ও মুর্শিদাবাদ,মালদহ,দিনাজপুর সহ কয়েকটি জেলা বিরাট অংশ 'ভাঙনে'র কবলে পড়ে ফি বছর সর্বস্বান্ত হন। উক্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদার বিদ্যাসাগর হলে প্রায় দুই শতাধিক ভুক্তভোগী মানুষজনদের উপস্থিতিতে এক মহতী কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন সূর্য প্রধান। ওই সংক্রান্ত মূল প্রস্তাব উত্থাপন করেন উৎপল প্রধান। সভায় বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রামের খরা প্রতিরোধ ও পূর্ব মেদিনীপুর-পশ্চিম মেদিনীপুর-হাওড়া-দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বন্যা প্রতিরোধ এবং মালদহ-মুর্শিদাবাদ-দিনাজপুর সহ বিভিন্ন নদী ভাঙন প্রতিরোধের দাবীতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন। বিশিষ্টদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,পঞ্চানন প্রধান,গোপাল বিশ্বাস,নারায়ণ চন্দ্র নায়ক। সভা সঞ্চালনা করেন দিলীপ কুণ্ডু। কনভেনশনে রাজ্য সরকারের 'নো কস্ট' পদ্ধতিতে নদী ও খাল সংস্কারের নানা দিক সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা হয়। সভা থেকে রাজ্যগতভাবে আন্দোলনের লক্ষ্যে "সারা বাংলা বন্যা-ভাঙন-খরা প্রতিরোধ কমিটি" গঠনের উপর জোর দেওয়া হয়। বর্ষার পূর্বে সেচমন্ত্রীর নিকট প্রতিনিধিমূলক ডেপুটেশন দেওয়ারও কর্মসূচি গৃহীত হয়। পঞ্চাননবাবু তার বক্তব্যে বলেন,স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরও দেশের অধিকাংশ(৭০ শতাংশ)মানুষ কৃষি কাজের উপর জীবিকা নির্বাহ করলেও খরা-বন্যা-ভাঙন সমস্যা সমাধানে কোনও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যথাযথ ভূমিকা নেন নি। আন্দোলনের মাধ্যমেই ভুক্তভোগী মানুষজনদের উভয় সরকারকে বাধ্য করার উপর উনি জোর দেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক তার বক্তব্যে আন্দোলনের মাধ্যমেই কংসাবতী ব্যারেজ থেকে বর্ষার সময় জল ছাড়ার নিয়ম পরিবর্তন সহ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান,কেলেঘাই-রূপনারায়ন নদী সংস্কার ও সোয়াদিঘী-গঙ্গাখালি প্রভৃতি নিকাশী খাল সংস্কারের কাজে সরকারকে বাধ্য করা গেছে বলে উল্লেখ করেন। তবে নো কষ্ট পদ্ধতিতে নদী ও খাল সংস্কারের কাজের গতি খুবই শ্লথ বলে উনি বলেন।
0 Comments