তমলুক টাউন কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির ডিরেক্টর পদ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। বিধায়ক সৌমেন কুমার মহাপাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলরের। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।

 তমলুক টাউন কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির ডিরেক্টর পদ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। বিধায়ক সৌমেন কুমার মহাপাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলরের। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।


দলীয় প্যানেলের নাম না থাকা সত্ত্বেও তমলুক টাউন পপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি ডিরেক্টর নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তমলুক শহর তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল কুমার খাঁড়া। সোসাইটিতে মোট ডিরেক্টর পদ সংখ্যা ১২। তাতে তৃণমূলের মনোনয়ন জমা করলেন ১৩ জন। রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুপারিশ করা ১২ জনের তালিকা মানলেন না তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। দলের পাঠানো তালিকায় নাম না থাকলেও শহর তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া ডিরেক্টর পদে মনোনয়ন জমা করেন। তার মনোনয়ন ঘিরে বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে রাজ্য থেকে আবার নতুন করে তালিকা পাঠানো হয়। যে তালিকায় চঞ্চল খাঁড়ার নাম যোগ হয়। এবং দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস করে আসা মনোজ হালদারের নাম বাদ যায়। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তাম্রলিপ্ত পৌরসভার একাধিক তৃণমূলের কাউন্সিলর। তাম্রলিপ্ত পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অলোক সাঁতরা, দেবশ্রী মাইতি, পার্থসারথি মাইতি, চন্দন রায় সহ তৃণমূলের নেতৃত্বরা সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন। এমনকি রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা তাম্রলিপ্ত পৌরসভার কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি অভিযোগ করেন অর্থের বিনিময়ে অনেক কিছুই হয়। তৃণমূল কাউন্সিলর অলোক সাঁতরা তমলুকের বিধায়ক সৌমেন কুমার মহাপাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন এই সমস্ত বিষয়ের পেছনে সৌমেন কুমার মহাপাত্রের ভূমিকা রয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী তমলুকের বিধায়ক সৌমেন কুমার মহাপাত্র বলেন বিধানসভা শুরু হয়েছে, আমার পারিবারিক অনুষ্ঠান থাকায় আমি ব্যস্ত ছিলাম, নির্বাচনের দায়িত্ব আমার উপরে ছিল নির্বাচন করিয়েছি, তৃণমূল কাউন্সিলর অলোক সাঁতরা, উনাকে নিজের ওয়ার্ডে কাজ করতে বলুন, আর আমার যদি ক্ষমতা থাকতো তাহলে উনাকেই আগে আমি সরিয়ে দিতাম। বিজেপি কটাক্ষ করতে ছাড়েনি, বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মলয় সিনহা বলেন এটা তাদের দলীয় ব্যাপার, আর তৃণমূল কংগ্রেস হল টাকা মারার কোম্পানি, ২৬ সাল পর্যন্ত এই দল টিকবে না। ডিরেক্টর পদে নতুনভাবে নাম আসা চঞ্চল কুমার খাঁড়া এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। ডিরেক্টর পদ থেকে বাদ যাওয়া মনোজ কুমার হালদার দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। সব মিলিয়ে বলা যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরে প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

Post a Comment

0 Comments