ময়নার বলাইপন্ডার ইন্দ্রপুরী ভাবনার মন্ডপ এবার ৭৭ তম বর্ষের প্রয়াস

 ময়নার বলাইপন্ডার ইন্দ্রপুরী ভাবনার মন্ডপ এবার ৭৭ তম বর্ষের প্রয়াস


 পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না ব্লকের পশ্চিম ময়না সার্বজনীন দুর্গোৎসব গুটি গুটি পায়ে এ বছর ৭৭ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এবারের মন্ডপের ভাবনা ইন্দ্রপুরী। দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা উদ্বোধনের পূর্বে একাধিক সেবামূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সমাজের মানুষের সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠেছে। উদ্বোধনের পূর্বে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির,বৃক্ষরোপণ,বৃক্ষ দান, বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা শিবির একাধিক কর্মকাণ্ড জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন। পঞ্চমীর পূর্ণ লগ্নে বিকেলবেলা  ঢাক করতাল সহযোগে একাধিক মানুষের সমাজ হয়ে বর্ণনাট্য শোভা যাত্রার মধ্য দিয়ে ঘট উত্তোলনের  মাধ্যমে এ বছরের শারদীয়ার শুভ উদ্বোধন হয়।

 ফিতে কেটে এবং মৃন্ময়ী মায়ের আবক্ষ মূর্তির উন্মোচনের মাধ্যমে পূজার শুভ উদ্বোধন করলেন স্বামী শ্রুতি সারানন্দ মহারাজ। উদ্বোধন অনুষ্ঠান মঞ্চে বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দের উপস্থিতির পূর্বে কচিকাচারা গান গেয়ে মাতালেন। এদিনের এই উদ্বোধন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধক রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ  স্বামী শ্রুতিসারানন্দ মহারাজ ছাড়াও ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্ডা, পরমানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৃণাল কান্তি সামন্ত, রামচক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুচিত্রা ভৌমিক,প্রাণী চিকিৎসক স্বর্ণ কমল রায়, ময়না কৃষি দপ্তরের অফিসার সুতনু ঘোষাল সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। বিশিষ্ট অতিথিদের চন্দনের ফোটা, ফুলের তোড়া, স্মরণীয় স্মারক দিয়ে সম্বধিত করল পূজো উদ্যোক্তারা। উদ্বোধক মহারাজ তার বক্তব্যে একদিকে যেমন পুজোর মাহাত্ম্য তুলে ধরলেন, অন্যদিকে উৎসব কমিটির সমাজ সেবামূলক কাজের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে এলাকার মানুষকে পাশে থাকার বার্তা দিলেন।

 পরমানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৃণাল কান্তি সামন্ত তার বক্তব্যে বলেন  এলাকার দুটি অঞ্চল থেকে আমরা যেমন এই পুজো কমিটিকে সাহায্য করি, তেমনি হয়ে যাওয়া রক্তদান শিবিরের সমস্ত খরচ বহন করে এই এলাকার দুটি স্কুল। ময়না সহ আশেপাশের জেলার মানুষগন এই দুর্দান্ত মণ্ডপ দেখতে এলে সঙ্গে মেলা উপভোগ করতে পারেন। মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাওয়ার দোকান থেকে শুরু করে আসবাবপত্র কিংবা দোলনাও বসে। বিজয়া দশমীর পরেও বেশ কয়েকদিন ধরে চলে মেলা। দর্শনার্থীদের আনন্দ দেওয়ার জন্য প্রত্যেক দিনই সন্ধ্যাকালীন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন সিঁদুর খেলার মাধ্যমে মেতে ওঠে এলাকার মহিলারা।

Post a Comment

0 Comments