কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে একটি বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর আত্মীয় থেকে পরিজনেরা।
আরজি কর আবহে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর পরিবারদের জন্য বিশ্রামাগার না থাকায় দুর্বিষহ অবস্থায় রাস্তায় রাত কাটাতে হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার, কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে একটি বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর আত্মীয় থেকে পরিজনেরা। ২০১১ সালে সেই সময় দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক ছিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী, তার বিধায়কের তহবিল থেকে একটি রোগীর পরিবারদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু তৈরি করা হলেও বর্তমান এটি সরকারি ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানে পরিণত হয়েছে। কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা, ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, ঠিক তারই মাঝে আরজিকরের ঘটনার নামমাত্র হাসপাতাল গুলিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়তো করা হয়েছে, কিন্তু কাঁথি শহরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন রোগীর প্রয়োজন এরা,, কারণ এত বড় হাসপাতাল চত্বরে পুলিশি নিরাপত্তার তেমন কোন ছবি দেখা যায় না,, এবারে আসা যাক বিশ্রামাগারের কথায়, যেসব দূর-দূরান্ত থেকে অসুস্থ রোগীরা কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন, তাদের সঙ্গে একজন থেকে দুজন আসেন পরিবারের লোকজন বা আত্মীয়রা, সরকারি নিয়ম অনুসারে রুগীর পাশে থাকা যায় না, তাই রোগী হাসপাতালের ভেতরে ভর্তি থাকলেও বাইরে অপেক্ষা করতে হয়, তাদের পরিবারের লোকজন,আত্মীয়দের।
প্রশ্ন তুলেছে রোগীর পরিবারের লোকজনেরা, এত বড় মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে সরকারিভাবে বিশ্রামাগার না থাকার ফলে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন আরজি করের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও নিরাপত্তা নিয়ে হুঁশ ফেরেনি এই ধরনের হাসপাতাল গুলিতে।। রোগীর পরিবারের লোকজনেরা তারা রাত কাটায় কেউ গাছের নিচে ,কেউ কোনো দোকানের নিচে, কেউ আবার হাসপাতালে ভিতরে যাতায়াতের রাস্তার উপরেই, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শুয়ে থাকতে হয় বা বসে অপেক্ষা করতে হয়। প্রাক্তন বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, আমার সেই সময় বিধায়ক তহবিল থেকে মহিলাদের জন্য একটি বিশ্রামাগার তৈরি করা হয়েছিল, কিছুদিন যাবত ব্যবহারের পর, সেই বিশ্রামাগারটি একটি আয়ুর্বেদিক সেন্টারের পরিণত হয়, আর এখন বর্তমান সরকারি ন্যায্য মূল্যে ওষুধ দোকান তৈরি হয়েছে, তিনি আরো বলেন আরজি করের ঘটনার পর এখনো কেন সরকারিভাবে বিশ্রামাগার তৈরি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কাঁথি পৌরসভার পক্ষ থেকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে প্রথমে ৩০ টাকা খরচ করলে রাত্রে থাকার ব্যবস্থা ছিল,, এখন বাড়ি এসেটি ৫০ টাকা করা হয়েছে, গ্রামের বহু প্রান্তিক মানুষ রয়েছেন একটি রোগীর পেছনে প্রায় দুজন থাকেন, যদি কোন রোগীকে চার থেকে পাঁচ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়, তার সাথেও ঠিক একইভাবে ওই দুজন ব্যক্তিকে থাকতে হয় তার মানে প্রত্যেকদিন ১০০ টাকা করে খরচ করলে পাঁচ দিনে ৫০০ টাকা খরচ করে থাকা যাবে,,, এইসব প্রান্তিক মানুষদের ৫০ টাকা তো দূরের কথা ১০ টাকা রিক্সা ভাড়া বাঁচানোর জন্য কয়েক মাইল পর্যন্ত হাঁটতে হয় এইসব প্রান্তিক অসহায় মানুষদের কথা প্রশাসন কবে ভাববে। যেখানে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে গেটের করি খরচ করে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়, তারা কিভাবে ৫০০ টাকা খরচ করে পাঁচ দিন ওই সরকারি পরিষেবা নিবে, অবিলম্বে অসহায় গরীবদের কথা মাথায় রেখে প্রশাসন একটি লাইট ফ্যান জল এবং পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থায় একটি বিশ্রামাগার তৈরি করুক প্রশাসন দাবি সাধারনের।
0 Comments