এগরার কসবাগোলায় পানীয় জলের তীব্র সংকট: দীর্ঘ এক বছর ধরে কাজ থমকে, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ!

 এগরার কসবাগোলায় পানীয় জলের তীব্র সংকট: দীর্ঘ এক বছর ধরে কাজ থমকে, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ!


এগরার কসবাগোলায় পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে ফুঁসলেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে চলা জলসঙ্কটের সমাধান না হওয়ায় বৃহস্পতিবার একযোগে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হন তারা।  
স্থানীয়দের অভিযোগ, ১৯৯৫ সালে উদ্বোধন হওয়া রিজার্ভার ট্যাংক থেকে নিয়মিত জল সরবরাহ হওয়ার কথা থাকলেও তা দীর্ঘদিন ধরে বিঘ্নিত হচ্ছে। এক বছর আগে নতুন রিজার্ভার তৈরির জন্য খনন কাজ শুরু হলেও, এখনো পর্যন্ত কোনও অগ্রগতি হয়নি। সরকারি প্রকল্পের কাজ অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকাবাসী।  
স্থানীয় পাম্প অপারেটর চয়ন দাসের কথায়, ‘‘পাম্প চালানো হলেও সকলের কাছে জল পৌঁছাচ্ছে না। ফলে প্রতিনিয়ত এজেন্সির মাধ্যমে কর্মরত পাম্প অপারেটরদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।’’  
রমজান মাসে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন বাসিন্দারা। অভিযোগ উঠেছে, কন্ট্রাক্টর কিশোর ঘোষের গাফিলতির কারণে এক বছর ধরে গর্ত খুঁড়ে রেখে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে, অথচ কোনও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি। সরকারি তরফ থেকেও মিলছে না আশানুরূপ সহায়তা, এমনটাই দাবি আন্দোলনকারীদের।  
এই প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির যুব মোর্চার ইনচার্জ অরূপ দাস কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে দাবদাহের সঙ্গে সঙ্গে জলসঙ্কটও চরমে উঠেছে। কাঠির বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় জনগণ যদি ক্ষোভ প্রকাশ করেন, তাহলে তা স্বাভাবিক। শাসকদলের অবহেলার কারণেই ঠিকাদার এবং সরকারি কর্মচারীদের গাফিলতি চরমে পৌঁছেছে, যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।’’  
তবে এই বিষয়ে পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের সঞ্চালক ও তথা তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ দাস জানিয়েছেন, ‘‘সরকারি কাজকর্মের দিকে নজর রাখা হচ্ছে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’  
তবু ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ না  হলে, নাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য হবেন।

Post a Comment

0 Comments