প্রথম বর্ষের পড়ুয়া হয়েও কলেজের অস্থায়ী কর্মী তৃণমূল ছাত্র নেতা

 প্রথম বর্ষের পড়ুয়া হয়েও কলেজের অস্থায়ী কর্মী তৃণমূল ছাত্র নেতা


কসবা কলেজের বেনিয়মের ছায়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা এলাকায়,শোরগোল নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজেই এবার কসবা কলেজের মতো বেনিয়মের ঘটনা প্রকাশ্যে এলো। নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের টিএমসিপি সভাপতি তিনি প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি আবার কলেজের গ্রুপ ডি অস্থায়ী কর্মী।
কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে রয়েছে কসবা কলেজের গভর্নিং বডিসহ পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ ছাত্রনেতা মনোজিৎ মিশ্র কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হলেও তাকে কলেজের গভর্নিং বডিসহ পরিচালন কমিটি কলেজে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করেছিল। সেই সুযোগকে হাতিয়ার করে সে কলেজে দাদাগিরি করত বলে অভিযোগ। 
একই ছবি উঠে এলো বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজে। সুমিত মন্ডল বর্তমানে নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি এবং প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাকে গভর্নিং বডিসহ কলেজ কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কলেজে নিয়োগ করেছে। অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা নিয় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
সেখানেই উঠতে প্রশ্ন! 
বলাবাহুল্য কিছুদিন আগে এবিভিপির পতাকা লাগানো কে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এবিভিপির মধ্যে একটি বাদানুবাদ সৃষ্টি হয়। সেখানে ছবি করতে গেলে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে ঠেলে কলেজ থেকে বের করে দেয় এই সুমিত মন্ডল। কলেজে এই সুমিতের দাদাগিরির ছবি প্রকাশ্যে এসেছিলো। যদিও বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি এবিভিপি।
নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের বর্তমান ছাত্র ABVP র ছাত্র নেতা সৃজন ভূঁইয়ার অভিযোগ "সুমিত মন্ডল প্রথম বর্ষের ছাত্র, দীর্ঘ কয়েক বছর কলেজে রয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সে কি করে একটা কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ হতে পারে? অপরদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সুমিত মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন, 
"কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে ভালো মনে করেছে তারা আমাকে একটা কাজের দায়িত্ব দিয়েছে তবে আমি কোন সরকারি বেতন পাই না, আমাকে কাজের মূল্য হিসেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটা সাহায্য করে সেই টাকায় আমি পড়াশোনা করি"।

Post a Comment

0 Comments